বাংলা ফ্রেম ডেক্স
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় এক শ জনের বেশি।
নিহতদের মধ্যে ঢাকার আরমানিটোলায় তিনজন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একজন এবং নরসিংদী সদরে একজন ও পলাশে একজন মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।সকালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কসাইটুলি এলাকায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল এবং কার্নিশ থেকে ইট ও পলেস্তরা খসে নিচে পড়ে। দেয়াল ও ইট-পলেস্তরা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আহত ১০ জন মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে ভূমিকম্পের সময় ঘটনাস্থল হয়ে ভুলতা-গাউছিয়া যাওয়ার সময় সড়কের পাশের দেয়াল ধসে শিশু ফাতেমা, তার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগমের ওপর পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে ওমর (১২) নামে এক শিশু ও পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামের কাজম আলী (৭৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলায় প্রায় শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক আনঅফিশিয়াল ব্রিফিংয়ে জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১০ জন আহত, তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭২, শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৩, নরসিংদী জেলা হাসপাতাল আহত ৪৫ ও ১০০ বেড হাসপাতালে ১০ আহত চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

