গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া আরেকটি নৌবহর আন্তর্জাতিক জলসীমায় বুধবার (৮ অক্টোবর) আটক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ওই অভিযানের আয়োজক ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া, ওই বহরে ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের কথা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম।
এফএফসি হচ্ছে ফিলিস্তিনপন্থী আন্তর্জাতিক কর্মী নেটওয়ার্ক, যারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ ভাঙতে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বেসামরিক নৌ অভিযানের আয়োজন করে থাকে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, নৌবহরের জাহাজ ও যাত্রীরা নিরাপদে আছে। তাদের ইসরায়েলের এক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং দ্রুতই প্রত্যাবাসন করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইনসিদ্ধ নৌ অবরোধ ভাঙার আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েই শেষ হয়েছে।
কয়েকদিন আগে ইসরায়েল প্রায় ৪০টি জাহাজ ও ৪৫০ জনেরও বেশি কর্মীকে আটক করে, যারা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ব্যানারে ত্রাণ নিয়ে গাজায় যাচ্ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় কোনও আইনি এখতিয়ার নেই। আমাদের বহর কারও জন্য হুমকি নয়।
এফএফসি জানায়, বহরটি প্রায় এক লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যের ওষুধ, রেসপিটরি মেশিনস ও পুষ্টি সরঞ্জাম বহন করছিল।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম দাবি করেন, তাদের বহনকারী গাজা অভিমুখী জাহাজটি মাঝসমুদ্রে আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি পশ্চিমা মিত্রের সহায়তায় গাজায় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরায়েল।
শহিদুল আলম কনশানস নামের একটি জাহাজে আছেন। এটি এফএফসি ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) বহরের একটি নৌযান।

